দিনাজপুর প্রতিনিধি মোঃ রিয়াদ হাসান আকাশঃ
দিনাজপুরে করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) প্রতিরোধে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে প্রায় ১ মাস আগে। আর স্বাভাবিকভাবেই এর প্রভাব পড়েছে কাঁচা তরিতরকারীর বাজারে। লকডাউনের কারণে পাইকারী ব্যবসায়ীরা দিনাজপুরে আসতে পারছেননা। অন্যদিকে পরিবহন ব্যবস্থা বন্ধ থাকায় পানির দামে তরিতরকারী বিক্রি হচ্ছে, কৃষকেরা তাদের উৎপাদিত ফসলের দাম পাচ্ছেনা।
করোনা ভাইরাসের কারণে দিনাজপুরকে লকডাউন ঘোষনার পর থেকে কাঁচা তরিতরকারী- টমেটো, করলা, বেগুন, শসা সহ শাকসবজির দাম কমতে থাকে। জেলার বাহির থেকে পাইকাররা দিনাজপুরে না আসায় এবং পরিবহন ব্যবস্থা বন্ধ থাকায় এসব শাক সবজির দাম কমতে থাকে। টমেটো প্রতি পাল্লা (৫কেজি) ১০ টাকা, করলা ১৫ টাকা (৫কেজি), শসা ১৫ টাকা (৫কেজি) দরে বিক্রি হচ্ছে। কৃষকরা জানিয়েছেন লকডাউনের কারণে তারা তাদের উৎপাদিত শাকসবজি পানির দামে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। তারা উৎপাদন খরচ তুলতে পারবেন না, লোকসান গুনতে হবে।
দিনাজপুর বাজার পরিদর্শক রবিউল হোসেন বলেছেন, পরিবহন ব্যবস্থা বন্ধ থাকায় দিনাজপুর জেলার উৎপাদিত সবজি কমদামে বিক্রি হচ্ছে। করোনা ভাইরাসের কারণে দিনাজপুরের কৃষকেরা তাদের উৎপাদিত শাকসবজি দাম না পেয়ে কিছু কৃষক সবজি ফেলে দিচ্ছেন। পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন তারা। এ সময় তারা সরকারের সহযোগীতা কামনা করেন। তা না হলে কৃষকরা শাকসবজির উৎপাদনে আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে এমনটি মনে করছেন কৃষির সাথে জড়িত সংশ্লিষ্টরা।
দৈনিক বাংলাদেশ আলো পত্রিকায় প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।