বিডি-আলো ডেস্ক /মোঃ রিয়াদ হাসান আকাশঃ
প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) এ পুরো বিশ্ব যখন কাঁপছে ঠিক তখনি দেশে চালু হওয়া শুরু করেছে পোশাক কারখানাগুলো। প্রায় ১ মাস যাবৎ করোনা ভাইরাস এর কারণে কারখানাগুলো বন্ধ থাকার পরে গতকাল রবিবার সাধারণ ছুটির মধ্যেই ধাপে ধাপে পোশাক কারখানা খুলতে শুরু করেছে। পোশাক কারখানা কর্তৃপক্ষের দাবী, সরকারের দেওয়া স্বাস্থ্যবিধি মেনেই সীমিত আকারে তারা উৎপাদন শুরু করেছে। যথাসম্ভব সতর্কতা অবলম্বন করছে তারা। কারখানায় শ্রমিকের প্রবেশের আগে তাপমাত্রা মাপা হচ্ছে, মাস্ক ও পোশাক দেওয়া হচ্ছে এবং হাত ধোয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এছাড়াও কিছুক্ষণ পর পর পুরো কারখানায় ছিটানো হচ্ছে জীবাণুনাশক।
এদিকে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানীকারক সমিতি (বিজিএমইএ) বলছে, যেসব কারখানায় রপ্তানী আদেশ বাতিল হয়নি, যাদের কাজ আছে, সেগুলো কয়েকটি ধাপে চালু করা হচ্ছে। প্রথম ধাপে রবিবার ঢাকার ৮টি কারখানা খোলা হয়েছে। এছাড়া একইদিন বিকেএমইএ সদস্যভুক্ত ১০ থেকে ১২টি কারখানা চালু হয়েছে। কারখানা কর্তৃপক্ষ বলছে, কারখানাগুলোতে শুধুমাত্র ঢাকায় অবস্থানরত শ্রমিকের মাধ্যমেই কাজ চালানো হচ্ছে। ঢাকার বাহিরে যে সকল শ্রমিকগণ আছে তাদেরকে ঢাকায় আসতে নিষেধ করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ইএবি) সভাপতি এবং বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদি গণমাধ্যমকে জানান, কোনো শ্রমিক এ মুহূর্তে গ্রামে অবস্থান করলে, তিনি সেখানেই থাকবেন এখন। চাকরী যাবে না। তারা বেতন বিকাশের মাধ্যমে পেয়ে যাবেন। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তারা এসে কাজে যোগদান করবেন।
দৈনিক বাংলাদেশ আলো পত্রিকায় প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।