বিডি-আলো ডেস্ক /মোঃ রিয়াদ হাসান আকাশঃ
গত বছর ৩১ ডিসেম্বর চীনের উহানে নোভেল করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম কারও মৃত্যু হয়। এর পরে সীমান্ত পেরিয়ে চীনের উহান থেকে গোটা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯)। ক্রমান্বয়ে প্রায় সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে এই ভাইরাস। গোটা বিশ্বে বর্তমান আক্রান্তের সংখ্যা ৩০ লক্ষ ৬৫ হাজার ১৭৬ জন, বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা ২ লক্ষ ১১ হাজার ৬৩১ জন। বিশ্বের সকল বিজ্ঞানী ও গবেষকেরা মিলে প্রতিনিয়ত এই ভাইরাসের প্রতিষেধক তৈরীর চেষ্টা করে চলেছেন, কিন্তু বারংবার ব্যর্থ হচ্ছেন। প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রূপ ধারণ করছে। দিনরাত এক করে গবেষণাগারে প্রতিষেধকের খোঁজ চালিয়ে যাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। কিন্তু তার জন্য আণুবীক্ষণিক শত্রুটিকে ভাল করে চেনা প্রয়োজন। সেই কাজটি করেছেন দুই বাঙালি বিজ্ঞানী।
এখন পর্যন্ত ভাইরাসটির ১১টি ধরন সম্পর্কে জানা গেছে। এর মধ্যে সব চেয়ে ‘সংক্রামক’ ভাইরাস টাইপটিকে চিহ্নিত করলেন ভারতের ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বায়োমেডিক্যাল জিনোমিক্স’-এর দুই বিজ্ঞানী নিধানকুমার বিশ্বাস ও পার্থপ্রতিম মজুমদার। কেন সেটি এতটা সংক্রামক, তারও বিশ্লেষণ করেছেন তারা। ‘ইন্ডিয়ান জার্নাল অব মেডিক্যাল রিসার্চ’-এ সোমবার প্রকাশিত হয়েছে গবেষণাপত্রটি।
এই দুই বিজ্ঞানী জানান, যেহেতু ভাইরাসটির মধ্যে এত পরিবর্তন ঘটছে, তাই ভ্যাকসিন বা প্রতিষেধক তৈরি বেশ চ্যালেঞ্জিং। ভাইরাসটি সম্পর্কে পুরোপুরি জানতে না-পারলে প্রতিষেধক তৈরি হলেও তা সবার শরীরে কাজ করবে না। সেই কাজেই সাহায্য করবে নিধান ও পার্থপ্রতিমের গবেষণা, আশাবাদী দুই বাঙালি গবেষক।
সূত্র: আনন্দবাজার+বিডি প্রতিদিন
দৈনিক বাংলাদেশ আলো পত্রিকায় প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।