প্রকাশ দেব,চট্টগ্ৰাম।
বোয়ালখালী উপজেলার চরণদ্বীপ ইউনিয়নের পূর্ব চরণদ্বীপ বটতল খলিল তালুকদারের বাড়িতে পারিবারিক বিরোধের জেরে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় মুক্তিযোদ্ধা আলী মদন (৬০) ও তার ছেলে নাছের (৩৫) গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন। আহত নাছের চমেক হাসপাতালে রাত পৌনে ১টায় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন বলে জানান তার প্রতিবেশি উপজেলা আ.লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক শফিউল আলম তালুকদার।
অপরদিকে প্রতিপক্ষ প্রবাসী শওকতও আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। আজ শুক্রবার (১৫ মে) রাত ১১টার দিকে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে এ ঘটনা ঘটে বলে জানান স্থানীয় ইউপি সদস্য আবু জাহেদ।
আহত আলী মদনকে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
নিহত নাছেরের ছোট ভাই মো.জয়নাল বলেন, পূর্ব শত্রুতার জেরে আমার বড় ভাইকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যাওয়া পুলিশের সেকেন্ড অফিসার এসআই তাজউদ্দিন মুক্তিযোদ্ধা আলী মদন ও তার ছেলে নাছের গুরুতর আহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন।
বোয়ালখালী থানার ওসি অব্দুল করিম বলেন, “এলাকার আধিপত্য নিয়ে স্থানীয় দুটি পক্ষের মধ্যে বিরোধ ছিল। এর জেরেই রাতে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এক পক্ষের গুলিতে নাসের মারা যায়, তার বাবা ও ভাই আহত হন।”রাতে ওই সংঘর্ষের পর পুলিশ সেখান থেকে দুই জনকে আটক করেছে বলে জানান ওসি।
এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, স্থানীয় দুই ভাই শওকত ও জাসিমের সঙ্গে নাসেরদের পরিবারের বিরোধ দীর্ঘদিনের। শনিবার রাতে জসিমরা চরণদ্বীপে গরিবদের মধ্যে যাকাত দিতে গেলে নাসেরের ভাই লোকমানের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়।
এরপর দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়ালে গুলির ঘটনা ঘটে, তাতে নাসের নিহত হন, আহত হন তার বাবা আলী মদন। নাসেরের আরেক ভাই লোকমান ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত হন।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই আলাউদ্দিন তালুকদার জানান, নাসেরকে রাতে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার বাবাকে এ হাসপাতালেই চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
দৈনিক বাংলাদেশ আলো পত্রিকায় প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।