প্রকাশ দেব,চট্টগ্ৰাম।
চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে নকল ব্যান্ডের বিপুল পরিমাণ মানহীন ঘি ধ্বংস করা হয়েছে।
শনিবার (১৬ মে) বেলা ১১টার দিকে হাটহাজারী উপজেলা ফতেপুর ইসলামিয়া হাট আলম বিল্ডিং এর নিচতলার অবৈধ ভেজাল ঘিয়ের কারখানায় ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মাদ রুহুল আমীন।
অভিযানে সহযোগিতা করেন সেনাবাহিনী ও পুলিশবাহিনীর দল।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভেজাল ঘি’র কারখানায় অভিযান চালানো সময় আশপাশের ব্যাবসায়ীদের মাঝে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলে জানা গেছে, কিছু অসাধু ব্যাবসায়ী অধিক মুনাফা লাভের জন্য রমজান মাসকে পুঁজি করে নকল ব্যান্ডের এবং মানহীন ঘিয়ের ব্যাবসা পরিচালনা করছে। হাটহাজারীতে বিভিন্ন নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যপন্যের দোকানে ভেজাল ঘি গুলো সরবরাহ করা হয়। মোড়কে পার্থক্য না বুঝার কারণে প্রতিনিয়ত ক্রেতারা ভেজাল ঘি কিনে প্রতারিত হয়ে আসছিল।
এদিকে ইউএনও রুহুল আমীন জানান, পামওয়েল এর সাথে রং এবং কয়েকটি কেমিক্যাল দিয়ে ৭/৮ ব্রান্ডের ঘি তৈরি করছে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী। তারা আমাদের গাড়ির প্রতি চোখ রাখেন। রাস্তায় দুইজন সার্বক্ষণিক পাহারায় থাকেন। যখনই ইউএনওর গাড়ি আসবে তারা তালা দিয়ে পালিয়ে যান। প্রতিবারই তালা ভেঙে কারখানায় ঢুকতে হয়েছে। মুদির দোকানদার শতভাগ নিশ্চিত যে এটা ঘি না, এটা পামওয়েল এর সাথে নানান কেমিক্যাল দিয়ে মেশানো একটি কেমিক্যাল। এই ঘি বিক্রি করলে তাদের দোকান থেকে অন্যান্য পণ্য বিক্রি হবে, তাই তারা জেনেশুনেই হাটহাজারীবাসীকে বিষ খাওয়াচ্ছেন।
তিনি আরও জানান, এখন পর্যন্ত মোট ১৯ টি কারখানা ধ্বংস করা হয়েছে, ভিডিও করে দোকানে দোকানে গিয়ে দেখানোও হয়েছে তবুও মুদির দোকানদাররা অধিক মুনাফার লোভ সামলাতে পারছেন না। আসুন নিজের পরিবারের সদস্যদের যেভাবে ভালবাসি, দেশের সকল মানুষকেও ঠিক সেভাবে ভালবাসতে চেষ্টা করি। তাহলে এভাবে অন্যের মুখে বিষ তুলে দেয়া বন্ধ হবে। অভিযানে কাউকে না পেয়ে কারখানাটি সীলগালা করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
দৈনিক বাংলাদেশ আলো পত্রিকায় প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।