মেহেদী হাসান, জেলা প্রতিনিধি, ফেনী।
ফেনীতে করোনাভাইরাসের সংকটকালীন সময় ও রমাজানের মধ্যেও ফেনীর সীমান্ত দিয়ে প্রতিনিয়ত ঢুকছে মাদকদ্রব্য। জেলার তিনদিক সীমান্ত থাকায় অবাধে মাদকদ্রব্য ঢুকলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতায় কোন ভাবেই ঠেকানো যাচ্ছে না। সীমান্তগুলোতে নিয়মিত অভিযান চালালেও রাতের আধারে ঢুকছে মাদকদ্রব্য। জেলায় ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিলেও কমছেনা মাদকের বেচা-কেনা।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বাংলাদেশ আলোকে জানায়, জেলায় ফেনী সদর, পরশুরাম, ফুলগাজী, ছাগলনাইয়া উপজেলার ভারতীয় সীমান্তের পাশাপাশি ও কুমিল্লা-ফেনী সীমান্ত দিয়ে নিয়মিত ঢুকছে ইয়াবা, ফেনসিডিল, গাঁজা ও ভারতীয় বিভিন্ন মাদকদ্রব্য। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক মাদক পাচারের নিরাপদ রুট হওয়ায় ফেনী অংশে নিয়মিত অভিযান চালিযে মাদকদ্রব্য ও আসামী আটক করছে র্যাব ও গোয়েন্দা পুলিশ।
এছাড়া ফেনীস্থ ৪ বর্ডার গার্ড ব্যটালিয়নের সদস্য ফেনীর সীমান্ত এলাকাগুলোতে মাদক দ্রব্য উদ্ধার করছে। তবে তাদের আসামী গ্রেপ্তারের সংখ্য নগন্য বলে অভিযোগ রয়েছে।
র্যাব-৭ ফেনী ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত কোম্পানী অধিনায়ক (সহকারী পরিচালক) সহকারী পুলিশ সুপার মো. নুরুজ্জামান বাংলাদেশ আলোকে জানান, ফেনীতে র্যাব-৭ নিয়মিত মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করছে। মাদকদ্রব্য উদ্ধারের পাশাপাশি আটক করছে মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক বহনের কাজে ব্যবহৃত পরিবহন।
তিনি আরো জানান, নিয়মিত মাদক বিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে গত ৯ মে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনীর রামপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে কাভার্ডভ্যান তল্লাশি করে ১ কোটি ১৫ লাখ টাকা মুল্যের ২৩ হাজার পিস ইয়াবা ট্যবলেটসহ মো. নুরুজ্জামান (৩২) ও মো. লিমন মিয়া (২২) নামে দুই মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করে।
ফেনী শহর পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ পরিদর্শক সুদ্বীপ রায় বাংলাদেশ আলোকে জানায়, গত ৬ মে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনীর মহিপালে ফ্লাইওভারের নিচে অভিযান চালিয়ে কাভার্ডভ্যান জব্দ করে। পরে তল্লাশি করে ৪০ লাখ টাকা মুল্যের ৮ হাজার পিস ইয়াবাসহ ৪ জনকে আটক করে।
জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাজিব দাশ পুরকায়স্থ বাংলাদেশ আলোকে জানান, গত ১২ মে সদর উপজেলার ধর্মপুর আশ্রয়ণ প্রকল্প এলাকায় গাঁজা সেবনের অপরাধে মো. শহীদুল ইসলামকে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও দুইশত টাকা জরিমানার আদেশ দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসময় তার কাছ থেকে ৫টি গাঁজার পুরিয়া উদ্ধার করা হয়।
জেলার ৬টি থানা পুলিশের পাশাপশি গোয়েন্দা পুলিশ ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর নিয়মিত মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছে বলে স্ব-স্ব কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
দৈনিক বাংলাদেশ আলো পত্রিকায় প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।