বিশেষ প্রতিনিধি :
২৮মে, ২০২০ গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় সরকারী রাস্তার জায়গা দখল করে বাড়ীর সীমানা প্রাচীর নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে ।
উপজেলার দহবন্দ ইউনিয়নের গোপাল চরণ গ্রামের কাজীটারীর (ব্র্যাক মোড় থেকে ৩০০/৪০০ মিটার পশ্চিমে)মৃত আনসার আলীর ছেলে মোঃ বাবুল মিয়া সরকারী রাস্তা দখল করে বাড়ীর সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করেছেন ! সীমানা প্রাচীর এর ভিতরে অবস্থিত ২/৩ টি গাছও কেটেছেন বাবুল !
গত ২৩ মে, ২০২০ তারিখে ঘটনাস্থলে গেলে, সাংবাদিক এসেছে শুনে- উপরোক্ত অভিযোগ গুলো করেন স্থানীয় বাসিন্দারা । স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ আরাফাত রহমান ও এ,বি,এম, সিদ্দীক সরকার চান বলেন-” বাড়ীর সীমানা প্রাচীর নির্মাণের সময়, আমরা বেশ কয়েকজন বাবুল মিয়াকে রাস্তার জায়গা দখল করে প্রাচীর নির্মাণ করতে বারণ করি । কিন্তু বাবুল মিয়া তা কর্ণপাত করেননি ! এমনকি বাবুল প্রাচীরের ভিতরের যে ২/৩ টি গাছ কেটেছেন ! সে গুলো রাস্তার গাছ ” !
বাবুল মিয়া কিছুদিন পূর্বে একই পাড়ায় অারোও একটি বহুতল ভবন নির্মাণ শুরু করেছিলেন । যে ভবনের সামনের প্রায় ১/১,৫ মিটার জায়গা সরকারী রাম্তায় পরেছে ! স্থানীয়দের প্রতিরোধের মুখে যে নির্মাণ কাজ বন্ধ করতে বাধ্য হন বাবুল মিয়া । দ্বিতীয় নির্মাণাধীন ভবন দেখতে গিয়ে কথা হয়, ঘটনাস্থলে উপস্থিত অাওয়ামী লীগ নেতা ও দহবন্দ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ আশেক আলী জিকুর সাথে । তিনিও বাবুলের সরকারী রাস্তার জায়গা দখল করে সীমানা প্রাচীর ও বহুতল ভবন নির্মাণের অভিযোগ করেন এবং এসব অপকর্মের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানান ।
স্থানীয় বাসিন্দা ও ভুরারঘাট মাদ্রাসার সিনিয়র সহকারী শিক্ষক মোঃ ইউনুচ আলী ও স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ রেজাউল করিম রাজু মিয়া বলেন-বাবুল মিয়ার অবৈধভাবে সরকারী জমি দখলসহ অনৈতিক কিছু বিষয়ের আলোকে গত ১৪/০৫/২০২০ তারিখে তার (বাবুলের) বাড়ীতে একটি সালিশী বৈঠক অনুষ্টিত হয় । ৩ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য মেঃ দুলা মিয়াকে সভাপতি নির্বাচন করে উক্ত সালিশী বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল । যে বৈঠকে দহবন্দ ইউঃপিঃ চেয়ারম্যান গোলাম কবীর মুকুল, ৪ (চার) জন ইউঃপিঃ সদস্যসহ স্থানীয় প্রায় দুই শতাধিক মানুষ উপস্থিত ছিলেন । যে বৈঠকে বাবুল মিয়ার বিরুদ্ধে সরকারী সম্পত্তি দখল ও বাড়ীতে পতিতা বৃত্তির অভিযোগ বিষয়ে আলোচনা হয় । অভিযোগকারীরা জানান, বাবুল মিয়ার এসব অপকর্মের পিছনে স্থানীয় কতিপয় জামাত নেতার মদদ রয়েছে বলে !
অনুষ্ঠিত সালিশী বৈঠকে আলোচ্য বিষয় গুলোর কোন প্রকারের মীমাংসা না হওয়াতে । পরবর্তীতে সালিশী বৈঠকে উপস্থিত সকলের স্বাক্ষরকৃত রেজুলেশন (কাগজ পত্র) সুন্দরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর প্রেরন করা হয় । যার অনুলিপি সচিব, বন ও পরিবেশ মন্ত্রনালয় । সচিব, ভূমি মন্ত্রনালয় । বিভাগীয় কমিশনার রংপুর ও জেলা প্রশাসক গাইবান্ধা বরাবর প্রেরন করা হয় ।
মুঠোফোনে বাবুল মিয়ার নিকট সরকারী রাস্তার জায়গা দখলের বিষয়ে জানতে চাইলে ? তিনি বলেন-” আমি নিজের জায়গায় সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করেছি । তবে রাস্তা পরিমাপ করে যদি দেখা যায়, রাস্তায় আমার প্রাচীর পরেছে ? তখন প্রাচীর অপসারন করবো ” । গাছ কাটার বিষয়ে তিনি বলেন ” গাছের ডালপালা কেটেছি মাত্র ” ! বাড়ীতে পতিতা বৃত্তির কথা জানতে চাইলে তিনি, বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে রাজী হননি ।
বাবুল মিয়ার এত্তসব কু-কর্মের প্রতিকার চান এলাকাবাসী । তাঁরা মনে করেন, বাবুল মিয়ার কু-কর্ম বন্ধে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয় ও দপ্তর সমূহের জরুরী হস্থক্ষেপ প্রয়োজন ।
৪
দৈনিক বাংলাদেশ আলো পত্রিকায় প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।