সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি::
বর্ষায় চারদিকে পানিতে ভরপুর হলেও সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলায় তিনটি ইউনিয়নের হাজার নৌযান চালকরা উপজেলা সদরে প্রবেশ করতে পারছে না ১২ফুট প্রস্তের মুক্তির খাল বন্ধ থাকার কারনে। যদি স্বাধীনতার পর থেকে এই খাল বর্ষার মৌসুমে ভেঙ্গে যায়, না হয় ব্যবসায়ী ও যাত্রীদের দিক বিবেচনা করে ভেঙ্গে দেওয়া হয় এবার আর তা ভেঙ্গে দিচ্ছে না একটি মহল। ফলে তিনটি ইউনিয়নের হাজার হাজার নৌযানের চালক, মালিকরা ও জনসাধারণ দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। মুক্তির খালটি উপজেলার একটি জনগুরুত্বপূর্ণ আর মুক্তি যোদ্ধের স্মৃতি। এই খালটি উপজেলার মাছ বাজারের উত্তর দিকে অবস্থিত। জানা যায়, প্রতি বছর উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়ন, বাদাঘাট ইউনিয়ন ও দক্ষিণ বড়দল ইউনিয়ন মাটিয়ান হাওরসহ বিভিন্ন হাওরের এক ফসলী বোরো ধান পাহাড়ী ঢল থেকে রক্ষার জন্য বাধ দেওয়া হয়। আর পাহাড়ি ঢলের পানি হাওরে প্রবেশপর পর এই বাঁধ খোলে দেওয়া হয়। কিন্তু এবার এখনও এই বাঁধটি খোলে না দেওয়ার কারনে তিনটি ইউনিয়নের সকল ব্যবসায়ীরা ও উপজেলা সদরের ব্যবসায়ীরা ক্ষতির শিকার হচ্ছেন ও উপজেলা সদরে আসতে গিয়ে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন মানুষ। এছাড়াও জেলা প্রশাসক,উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানার স্পিডবোট এই খাল দিয়ে চলাচল করে। আর মাটিয়ান হাওরে ঝড় উঠলে সকল নৌকা মুক্তির খাল দিয়ে প্রবেশ করে তাহিরপুর বাজার গিয়ে আশ্রয় নেয়। স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, ১৯৭১ সালে মুক্তিযোদ্ধের সময় মুক্তিযোদ্ধারা এই কাল দিয়ে উত্তর শ্রীপুর, দক্ষিণ বড়দল ও বাদাঘাট ইউনিয়নসহ বিভিন্ন স্থানে নৌকা দিয়ে চলাচল করেছে। এছাড়াও এই খাল টি ব্যবসায়ী ও নৌযান চালক এবং সর্বস্তরের মানুষের চলাচলের সহজ মাধ্যম। এই বাঁধটি খোলে না দিলে সবার দূর্ভোগের শেষ থাকবে না। এবিষয়ে তাহিরপুর উপজেলার সদরের বাজার বনিক সমিতির সভাপতি আবিকুল মিয়া জানান,আমরা মুক্তির খলা বাঁধ খোলে না দেওয়ার কারনে উত্তর দিকে তিনটি ইউনিয়ন হাজার হাজার নৌকা চালকরা যাত্রী নিয়ে বাজারে প্রবেশ করতে না পারায় কোন ব্যবসায়ী ও মানুষজন বাজারে আসছে না। ফলে আমরা ক্ষতির শিকার হচ্ছেন। বাঁধটি খোলে দিলে সবার উপকার হত। নৌযান চালক আশরাফুল মিয়া জানান,প্রতি বছরেই হাওরে পানি প্রবেশ করার সাথে সাথেই এই বাঁধটি খোলে দেওয়া হয় এতে করে বাজারে সহজে প্রবেশ করা যার আর এতে করে আমরাও যাত্রী ও মালামাল পরিবহন করে লাভবান হতাম আর যাত্রীরাও সাচ্ছন্দ্য বোধ করত এখন বাজারে আসতে হলে দীর্ঘ পথ ঘোরে বাজারে আসতে হচ্ছে। এতে করে আমরাও ক্ষতির শিকার হচ্ছি। তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিজেন ব্যনার্জি বলেন, এই খাল নিয়ে দুটি পক্ষ থাকায় একটু সমস্যা আছে। তাই এই বিষয়ে সব কিছু বিবেচনা করে সবার সাথে বসে আলোচনা মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দৈনিক বাংলাদেশ আলো পত্রিকায় প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।