সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি::
সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলায় করোনা প্রতিরোধে সুরক্ষা সামগ্রী’র বরাদ্দকৃত টাকা আত্মসাতের লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল বুধবার (৩ জুন) জেলা প্রশাসক বরাবর এমন একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন জামালগঞ্জ উপজেলার মানিগাঁও গ্রামের শাহ আবুল কাশেম।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ইউনিয়ন পরিষদের সুরক্ষার জন্য উপজেলা পরিষদের রাজস্ব তহবিল থেকে ১ লক্ষ টাকা, স্থানীয় সরকার বিভাগের ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা বরাদ্দ হয়। এদিকে উপজেলার ৫ টি ইউনিয়ন থেকে আরো ১৪ হাজার ৩ শত টাকা করে মোট ৭১ হাজার ৫ শ টাকা উত্তোলন করা হয়। এভাবে উপজেলা পরিষদে মোট ৩ লক্ষ ১ হাজার টাকা জমা হয়। এছাড়া উপজেলা মাথারগাঁও গ্রামের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী বিমান বিহারী ১৫০ পিস পিপিই উপজেলা পরিষদে দান করেন। জানা যায় ওই ১৫০ পিস পিপিই’র মধ্যে ১১০ পিস পিপিই ৫টি ইউনিয়ন পরিষদে বিতরণ করা হয়েছে। আবার ইউনিয়ন পরিষদ থেকে সুরক্ষা সামগ্রী বাবদ ১৪ হাজার ৩ শত টাকা করে যে টাকা আদায় হয়েছে এই টাকা কোথায় গেলো তা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন উঠেছে। উপজেলা পরিষদের তহবিলে বরাদ্দকৃত মোট ২ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা গায়েব হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান গোলাম জিলানী আফিন্দী রাজু বলেন, ১৪ হাজার ৩ শ টাকার বিনিময়ে যদি ইউনিয়ন পরিষদে পিপিই দেয়া হয় তাহলে উপজেলা পরিষদের বরাদ্দর টাকা গেল কই ? করোনাকালে এমন অনিয়ম মোটেও কাম্য নয়।
উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বিনা রানী তালুকদার বলেন, পিপিই নিয়ে কোন অনিয়ম হয়নি। বরাদ্দকৃত টাকায় সুরক্ষা সামগ্রী সঠিকভাবে বিতরণ করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদের মুঠোফোনে ফোন দিলে রিসিভ না করায় বক্তব্য জানা যায়নি।
দৈনিক বাংলাদেশ আলো পত্রিকায় প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।