আবদুল মজিদ, ফেনী সদর প্রতিনিধি:
বাংলাদেশে চলমান করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে সারা বাংলাদেশে এলাকাভিত্তিক লকডাউনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। আক্রান্তের সংখ্যা বিবেচনা করে রেড জোন, ইয়েলো জোন ও গ্রিন জোনে চিহ্নিত করে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বাস্তবায়ন হবে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি ও আইনি পদক্ষেপ। সেই পরিপেক্ষিতে ফেনীকে ঘোষণা করা হয়েছে রেড জোন এলাকা হিসেবে।
ফেনীতে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা মোট ২শ ৪৮ জন। তাদের মধ্যে সদরের ৯২ জন, ছাগলনাইয়ায় ২৭ জন, দাগভূঞায় ৮৫ জন, সোনাগাজীতে ৩৬ জন, ফুলগাজীতে ১০ জন ও পরশুরামে ৯ জন। অপর ৫ জন পাশ্ববর্তী চট্টগ্রাম, মিরসরাই, চৌদ্দগ্রাম ও সেনবাগের বাসিন্দা। ফেনী জেনারেল হাসপাতালে নমুনা পরীক্ষা দিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন।
ফেনীতে রবিবার পর্যন্ত ২ হাজার ৩শ ৪৬ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষাগারে প্রেরণ করা হলে ১ হাজার ৯শ ৩৫ জনের প্রতিবেদন আসে। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৬৮ জন। এদের মধ্যে সদরে ২৫ জন, সোনাগাজীতে ৮ জন, ছাগলনাইয়ায় ১৩ জন, দাগনভূঞায় ১০ জন, পরশুরামে ৭ জন ও ফুলগাজীতে ৫ জন।
এদিকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে দেশের তিনটি বিভাগ, ৫০টি জেলা ও ৪০০টি উপজেলাকে পুরোপুরি লকডাউন (রেড জোন বিবেচিত) দেখানো হচ্ছে। আংশিক লকডাউন (ইয়েলো জোন বিবেচিত) দেখানো হচ্ছে পাঁচটি বিভাগ, ১৩টি জেলা ও ১৯টি উপজেলাকে। আর লকডাউন নয় (গ্রিন জোন বিবেচিত) এমন জেলা দেখানো হচ্ছে একটি এবং উপজেলা দেখানো হচ্ছে ৭৫টি।
চট্টগ্রাম বিভাগঃ বেশিরভাগ জেলাকে লকডাউন বলা হচ্ছে ফেনী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চাঁদপুর, কুমিল্লা, কক্সবাজার, খাগড়াছড়ি, লক্ষ্মীপুর ও নোয়াখালীকে। এই বিভাগে আংশিক লকডাউন বান্দরবান, চট্টগ্রাম ও রাঙ্গামাটি।
দৈনিক বাংলাদেশ আলো পত্রিকায় প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।