মহিউদ্দীন আহমেদ। কলকাতা । ভারত।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গে লক-ডাউন বারানো হলো ৩০ জুন পর্যন্ত। ভারতে লক-ডাউন শুরু হয় ২৪ মার্চ। তার একদিন আগে প্রধানমন্ত্রীর ডাকে জনতা কার্ফু। এখন পশ্চিমবঙ্গে লক-ডাউন কিছুটা শিথিল করা হয়েছে। তবে পুরো দমে বন্ধ হয় নি। মন্দির মসজিদে প্রার্থনার জন্য পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী প্রথমে ১০ জনের প্রবেশাধিকার দিয়েছিলেন। পরে তা বাড়িয়ে ২৫ জন করা হয়। কলকাতা সহ জেলায় জেলায় কিছু বাস রাস্তায় নেমেছে। তবে যাত্রীর তুলনায় অনেক কম। এদিকে কলকাতা সহ একাধিক জেলায় বাড়ছে কোরনা আক্রান্তের সংখ্যা। ভারতের কেরল, মুম্বাই সহ বিভিন্ন রাজ্য থেকে যেসব শ্রমিকরা কাজ করতে গিয়েছিলেন সেই পরিযায়ী শ্রমিকরা পশ্চিমবঙ্গে নিজ জেলায় বাড়ী ফেরার পর কোরনা ভাইরাসে আক্রান্তর সংখ্যা বেড়েছে। যারাই বাইরে থেকে ফিরেছে তাদের মেডিক্যাল টেস্ট করিয়ে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এদিকে কোরানা ভাইরাসে কেউ মারা মৃত ব্যাক্তির বাড়ীর লোক মৃতদেহ দেখার সুযোগ পেতো না। এখন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মৃতদেহ দেখার সুযোগ করে দিয়েছেন। নিয়মে বলা হয়েছে বাড়ীর লোক ৩০ মিনিট মৃতদেহ দেখার সুযোগ পাবেন।
টানা দু মাসেরও বেশী সময় লক-ডাউন চলার পর র অনেকটাই শিথিল হয়েছে লক-ডাউন.। শুরু হয়েছে আন-লক পর্ব। সাধারন মানুষ সাধারন কাজকর্ম শুরু করেছে। সেখানে যতটা না সমস্যা তার থেকেও বেশী সমস্যা ভিনরাজ্য থেকে আসা পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘড়ে ফেরা। এবং এই সময় সারা রাজ্য জুড়ে যে ভাবে একটার পর একটা জেলা সবুজ থেকে গ্রীন সীমানা পেড়িয়ে রেড জোনে ঢুকে পড়ছে, আক্রান্ত থেকে সুস্হ্যতা যেমন হচ্ছে তেমনি সংখ্যাটা কম হলেও দুর্ভাগ্যজনক ভাবে কেউ কেউ মারা যাচ্ছেন তাতে চিন্তা বাড়াচ্ছে সমাজ বিশেষজ্ঞ থেকে চিকিৎসকদের।
দৈনিক বাংলাদেশ আলো পত্রিকায় প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
