কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি :
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে নির্মাণাধীন একটি বাড়িতে কাজ করার সময় সেপটিক ট্যাংকের গর্তে পরে আল আমিন (২৫) ও সুজন মিয়া (৩৫) নামে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পরে নাগেশ্বরী ফায়ার সার্ভিসের একটি দল গর্ত থেকে দুজনকে উদ্ধার করে ফুলবাড়ি হাসপাতালে পাঠালে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন। নিহত রাজমিস্ত্রী আল আমিন ফুলবাড়ির অনন্তপুর বালাটারী গ্রামের আব্দুল আউয়ালের পূত্র এবং স্থানীয় যুবক সুজন মিয়া আজোয়াটারী গ্রামের সাহেব আলীর পূত্র। রাজমিস্ত্রীকে গর্ত থেকে উদ্ধার করতে গিয়ে সুজনও বিষক্রিয়ায় অসুস্থ হয়ে মারা যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ফুলবাড়ি উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের গঙ্গারহাট এলাকার প্রভাষক আব্দুল আউয়ালের বাড়ীতে আধাপাকা ঘরের কাজ চলছিল। ঘরের ভেতর ইতিপূর্বে ২০ফিট দৈর্ঘের একটি সেপটিক ট্যাংকের গর্ত খোড়া ছিল। যা বস্তা ও কাঠ দিয়ে মুখটা ঢেকে রাখা হয়। শুক্রবার অসাবধানতাবশত: সেপটিক ট্যাংকের গর্তে কাঠ ভেঙে নীচে পরে যায় রাজমিস্ত্রী আল আমিন। অন্যান্য রাজমিস্ত্রিরা চিৎকার দিলে স্থানীয় যুবক সুজন মিয়া তাকে উদ্ধারে গর্তে নেমে পরলে দুজনই বিষক্রিয়ায় সেখানে অসুস্থ্য হয়ে পরে। স্থানীয়রা নাগেশ্বরী ফায়ার সার্ভিসে খবর দিলে তারা গর্ত থেকে দুজনকে উদ্ধার করে ফুলবাড়ি হাসপাতালে প্রেরণ করে। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন।
এ ব্যাপারে নাগেশ্বরী ফায়ার সার্ভিসের ষ্টেশন অফিসার ইমন মিয়া জানান, প্রায় ৩০ মিনিটের অভিযানে ২০ফুট গভীর সেফটিক ট্যাংকের গর্ত থেকে দু’জনকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছি।
ফুলবাড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ নবিউল হাসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, মরদেহ দুটি ফুলবাড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রাখা হয়েছে। পরিবারের লোকজন আসলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
দৈনিক বাংলাদেশ আলো পত্রিকায় প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।