জেলা প্রতিনিধি নাটোরঃ
নাটোর জেলার বড়াইগ্রাম উপজেলা।
সালটা ছিল ২০১৬ এই সালের ২৭ ডিসেম্বর বিএনপি সমর্থিত উপজেলা চেয়ারম্যান প্রিন্সিপাল একরামুল আলম আকরাম মৃত্যুবরণ করেন। ফাঁকা হয়ে যায় উপজেলা চেয়ারম্যান পদটি। এরপর নির্বাচন কমিশন উপ-নির্বাচনের নির্দেশনা দেন।
২০১৭ সালের ৬ মার্চ দিনটা ছিলো বড়াইগ্রাম উপজেলা পরিষদ এর উপ-নির্বাচনের দিন।বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা,বাংলার মমতাময়ী মা,বর্তামানের মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা দলীয় প্রতিক নৌকা তুলে দেন তৃণমূলের আশা-ভরসার একমাত্র ব্যক্তি ডাঃ সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী°র হাতে।নেত্রীর ভরসা নষ্ট করেন নি বড়াইগ্রামের আপামর জনতা।ভোটের দিন আনন্দঘন পরিবেশে ভোট দেন ভোটারগণ।জিতে যায় স্বাধীনতার প্রতিক নৌকা।
বড়াইগ্রামের ফিরে আসে স্বাধীনতা, দুই বছর সততার সহিত পালন করেন নিজের ওপর অর্পিত দায়িত্ব,কর্তব্য ত্যাগী এই নেতা ডাঃ সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী।
২০১৯ সালঃ ত্যাগী এই নেতা ডাঃ সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী°র কর্ম দক্ষতা এবং সততার মুগ্ধ হয়ে আবারও দলীয় সভাপতি ও মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা দলীয় প্রতিক নৌকা তুলে দেন ডাঃ সিদ্দিকুর রহমানের হাতে।বড়াইগ্রাম বাসী একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেন, কিন্তু বেঁকে বসেন নাটোর-৪ আসনের এম.পি আব্দুল কুদ্দুস নিজেই।নৌকা প্রতিকের বিরুদ্ধে দাঁড় করিয়ে দেন “আনারস”মার্কায় মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন বাবলু কে।
মরিয়া হয়ে উঠেন “আনারস” মার্কার সমর্থকরা।উপজেলার বিভিন্ন স্থানে নৌকার অফিস ভাঙা,নৌকার পক্ষের নেতা/কর্মীদের মারধর,হুমকী সহ নানা রকম অত্যাচার শুরু হয়।
তবুও দমে যায়নি বড়াইগ্রামের আপামর জনতা।
অবশেষে আশে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ ১০ ই মার্চ।বড়াইগ্রাম জুড়ে শুরু হয় ভোট।ভোটের দিনেও নানা রকম কৌশল চালায় “আনারস” সমর্থিত লোকজন।নানা ষড়যন্ত্রের মাঝেও আবারও বিজয় হয় স্বাধীনতার প্রতিক নৌকা°র।বড়াইগ্রামের জনতা ফিরে পায় স্বাধীনতা।
ঘটনা এখানেই শেষ নয় সাংসদ এর তান্ডব চলতে থাকে।জেলা পরিষদ এর সদস্য থেকে শুরু করে নৌকার সকল স্তরের নেতা-কর্মীদের ওপর চলতে থাকে নানা রকম অত্যাচার।মিথ্যা মামলা,নৌকার কর্মীদের দোকান ভাঙচুর,শারীরিক অত্যাচার, ভয়-ভীতি প্রদর্শন যেন নিত্য দিনের কর্মকাণ্ড।
সাম্প্রতিকালে বিশ্ব মহামারী কোভিড-১৯ বা করোনা ভাইরাসে বড়াইগ্রামের হাজার হাজার মানুষ হারায় কর্মসংস্থান। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্মহীন মানুষের জন্য নানারকম কর্মসূচি হাতে নেন। অসহায় মানুষদের জন্য চাল-ডালসহ নানারকম উপহার সামগ্রী পাঠান বিভিন্ন জেলা-উপজেলায়, বড়াইগ্রামেও সেটা বাদ পড়েনি।
কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় বড়াইগ্রামে নৌকার পক্ষে মানুষগুলো এইসব ত্রাণ সামগ্রী হতে বিরত থাকেন।
মাঠে নেমে পড়েন ত্যাগী নেতা মোঃ ডাক্তার সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী। হাজার হাজার মানুষের পাশে তিনি নিজ অর্থায়নে ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে দাঁড়ান।
বড়াইগ্রামের যেখানেই মানুষ বিপদে পড়েন সেখানেই ছুটে যাঁন এই ত্যাগী নেতা।
বড়াইগ্রাম মানুষের এখন একটাই চাওয়া দলীয় প্রতীক নৌকার সমর্থক কর্মীদের
নিরাপত্তা,মাননীয় সাংসদ জনাব আব্দুল
কুদ্দুসের নেতৃত্বাধীন সতন্ত্র আনারসের গুন্ডবাহীনীর ও এম পি সাহেবের লেলিয়ে দেয়া পুলিশ বাহিনীর হাত হতে নৌকার সাধারণ কর্মীদের সুরক্ষা ।
দৈনিক বাংলাদেশ আলো পত্রিকায় প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।