নাটোর প্রতিনিধিঃ
এলাকা সূত্রে যানা যানা যায়, মাদক সেবন করে টিক্কা ও তার সঙ্গীরা দোকানে এসে মাতলামো করতে থাকে।এমন সময় এলাকার চা-পানরত সাধারণ লোকজন তাদের বাঁধা দেয়।এরপর তারা সেই স্থান ত্যাগ করে।পরবর্তীতে আনিসুর রহমান খেচু নেতৃত্বে টিক্কা,এহিয়া, সাকলাইন শুভ,জিয়া,পিয়াসও তার সঙ্গীরা দোকানে এসে দোকানদার জিল্লুর রহমান জুলু আলী(৬০) পিতাঃমৃত নবির উদ্দিন ও তার ছেলের(৩০) উপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা, জখম দোকান লুটপাট করেছে এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও একাধিক মামলার আসামিরা। টিক্কা(৩৫)পিতাঃ ডাঃ আনসার, পিয়াস(২৫) পিতাঃ আনিসুর সরকার, ইয়াহিয়া(৪০)পিতাঃ মোহাম্মদ আলী সহ তাদের সহযোগীরা এ হামলার সঙ্গে অংশগ্রহণ করে বলে জানিয়েছে হামলার শিকার আওয়ামী লীগ নেতা জিল্লুর রহমান জুলু আলী । এলাকায় খবর নিয়ে জানা গেছে তারা আওয়ামী লীগের অপর পক্ষ আনিসুর রহমান খেচু সমর্থিত বাহিনী। উল্লেখ্য আনিসুর রহমান খেচু স্থানীয় এমপি সমর্থিত নৌকা বিরোধী চেয়ারম্যান নামে নির্বাচিত।
এদিকে বড়াইগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে দুই জনেরই অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদেরকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান ডাক্তার সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী বলেন- একসময় শান্তির এলাকা হিসেবে পরিচিত ছিল বড়াইগ্রাম। নতুন ও আধুনিক নেতৃত্ব যেন বড়াইগ্রামের সৃষ্টি হতে না পারে এইজন্য একটা মাদকসেবী মহল নিত্যদিন এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে চলছে।
তিনি আরো বলেন-আমি বড়াইগ্রাম বাসীদের অনুরোধ করবো আপনারা সচেতন থেকে সকল সংঘর্ষ, বিবাদ থেকে বিরত থাকুন এবং এই অপশক্তিকে বড়াইগ্রাম থেকে বিতাড়িত করুন।
আর, এই ধরনের সন্ত্রাসী ও তাদের গডফাদারদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি এবং এদেরকে আমরা সমূলে উৎখাত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করছি।
এ বিষয়ে বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেন, আমরা বিষয়টি অবগত হয়েছি এবং আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
দৈনিক বাংলাদেশ আলো পত্রিকায় প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
