কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
কুড়িগ্রাম রৌমারীত ১৪১ টি সরকারি গাছ কর্তনের অভিযোগে চরশৌলমারী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কে.এম ফজলুল হক মন্ডলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। বুধবার রাতে রৌমারী উপজেলা বনবিভাগর অতিরিক্ত দায়িত্ব থাকা কুড়িগ্রাম বনবিভাগর কর্মকর্তা ইকবাল হাসান বাদি হয়ে রৌমারী থানায় এই মামলাটি করেন।
কুড়িগ্রাম বনবিভাগর কর্মকর্তা ইকবাল হাসান জানান, গত ২৪ মে দুপুরে চরশৌলমারী ইউনিয়নের চরশৌলমারী ক্লিনিক হতে সানাপুর পর্যন্ত সংযোগ সড়ক ও চরশৌলমারী ব্রীজ হতে ঘুঘুমারী পর্যস্ত সংযোগ সড়কের ১৪১টি ইউক্লিপটাস গাছ কর্তন করে বিক্রয় করেন ইউপি চেয়ারম্যান কেএম ফজলুল হক মন্ডল। সরকারি অনুমোদন ছাড়াই এসব কাছ কেটে বিক্রি করেন। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ৬লাখ টাকা। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে তোলপাড় শুরু হয়। স্থানীয় লোকজন লিখিত ভাবে অভিযোগ করেন। অভিযোগের পেক্ষিতে জেলা বনবিভাগের পক্ষ থেকে তদন্ত করা হয়। তদন্তে প্রাথমিক ভাবে অভিযোগের সত্যতা মেলায় মামলা করার সিদ্ধান্ত হয়। সে কারণে চরশৌলমারী ইউপি চেয়ারম্যান কে এম ফজলুল হক মন্ডলকে প্রধান আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়।
এব্যাপার রৌমারী থানার অফিসার্স ইনচার্জ ( ওসি) আবু মো.দিলওয়ার ইনাম জানান, গাছ কাটার বাদির লিখিত অভিযাগ পেয়ে দন্ড বিধি ৩৭৯/৪১১ ধারায় চরশৌলমারী ইউপি চেয়ারম্যান কেএম ফজলুল হক মন্ডলের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে।
দৈনিক বাংলাদেশ আলো পত্রিকায় প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।