মোঃ আলিমুল ইসলাম,জেলা প্রতিনিধি,কুড়িগ্রাম।
কুড়িগ্রামের কচাকাটায় পঞ্চাশোর্ধ নারী ধষর্ণের ঘটনায় জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশে শালিসে বিচার পরিচলানাকারীসহ আটজনের নামে মামলা হয়েছে। এর মধ্যে ধর্ষণের অভিযুক্ত দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত বুধবার ভোরে অভিযান চালিয়ে কেদার ইউনিয়নের মোল্লাপাড়া গ্রামের সৈয়দ আলীর ছেলে ধর্ষণের অভিযুক্ত শামছুল (৪৫) এবং একই গ্রামের হামেদ আলীর ছেলে শফিয়ার রহমান (৩৫) কে নিজ নিজ বাড়ি থেকে আটক করে কচাকাটা থানা পুলিশ। মামলার অন্যতম অভিযুক্ত একই ইউনিয়নের মৃত হাছিম মুন্সির ছেলে কবিরাজ নূর হুদা (৪০) পালিয়ে যায়। এদিকে বৃহস্পতিবার সকালে ধর্ষণের শিকার নারীকে বল্লভের খাষ ইউনিয়নের কৃঞ্চপুর গ্রাম থেকে এনে পুলিশ হেফাজতে নেয়। পরে বিকালে ওই নারী বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করে। ধর্ষণের বিষয়টি শালিসের মাধ্যমে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টায় শালিসের বিচার কার্য পরিচালনা করায় বল্লভের খাষ ইউনিয়নের দুই ইউপি সদস্য সৈফুর রহমান, হুজুর আলী এবং স্থানীয় মহৎ আছলাম হোসেন, নূরুল ইসলাম ও দালাল মনির হোসেন কে আসামী করা হয়। শুক্রবার সকালে আটকদের জেলহাজতে এবং ধর্ষণের শিকার নারীকে স্বাস্থ্য পরিক্ষার জন্য কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে প্রেরন করা হয়।
উল্লেখ্য গত ১৪ জুন দুপুরে কচাকাটা বাজারে কবিরাজের কাছে চিকিৎসা নিতে গিয়ে পঞ্চাশোর্ধ ওই বিধবা নারী কবিরাজের দুই সহযোগী শামছুল এবং শফিয়ার রহমানের লালশার শিকার হয়। পরে ওইদিন কচাকাটা থানায় অভিযোগ দিলেও বিষয়টি আমলে নেইনি পুলিশ। পরদিন ১৫জুন সোমবার ওই নারী অভিযোগের বিষয়ে খোজখবর নিতে গেলে স্থানীয় ইউপি সদস্য ও মহতরা বিচারের আশ্বাস দিয়ে তাকে থানা গেট থেকে ডেকে নিয়ে যায়। এবং শালিস বসিয়ে অভিযুক্তদের ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করে। এসময় ১৮ হাজার টাকা দিয়ে ওই নারীকে বিদায় করে দেয় তারা। পরদিন মঙ্গলবার সংবাদ কর্মীদের নজরে আসলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ পায়। বিষয়টি কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খানের নজরে আসলে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কচাকাটা থানা পুলিশকে নির্দেশ দিলে গত বৃহস্পতিবার ভোররাতে জড়িত ২ ধর্ষককে গ্রেপ্তার করা হয় ।
কচাকাটা থানার মামলা নম্বর ৪ তারিখ ১৮.০৬.২০২০ধারা ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন( সংশোধনী ২০০৩) এর ৯(৩)/৩০ এর মামলার পর গ্রেফতারকৃত আসামীদের জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে বাকী অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে জোর চেষ্টা চলছে।
দৈনিক বাংলাদেশ আলো পত্রিকায় প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।