মহিউদ্দীন আহমেদ, কলকাতা।
শোক আর গর্বের মধ্য দিয়ে গান স্যালুটে শেষ বিদায় জানানো হলো বাংলার দুই বীর সন্তান রাজেশ ওরাং ও বিপুল রায়কে। শুক্রবার মহম্মদবাজারের বেলঘড়িয়া গ্রামের মাটিতে কবরস্হ করা হলো রাজেশের মরদেহ যে দেশকে বাঁচাতে প্রান হারান ভারত-চীন সীমান্তে। অন্যদিকে আলিপুরদুয়ারে শশ্মানে দাহ করা হলো বিপুল রায়কে। শুক্রবার ভোর বেলা থেকে মহম্মদবাজার সহ জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজার হাজার মানুষ ভীড় করেন রাজেশকে শেষ শ্রদ্ধা জানানোর জন্য তার বেলঘড়িয়া গ্রামে। রাজেশের বাড়ীর চারপাশ শুধু মানুষ আর মানুষের এত ভীড় যেমন ছিলো তেমনি অজস্র ভীড় ছিলো আলিপুরদুয়ারের বীর সন্তান বিপুল রায়কে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে।
সকাল থেকেই সংবাদমাধ্যম, পুলিশ প্রশাসন, রাজনৈতিক নেতা-মন্ত্রী সহ হাজার হাজার মানুষের ভীড় চোখের জলের মধ্য দিয়ে শেষ বিদায় জানায় শহীদ সন্তান বীর রাজেশ ওরাং ও বিপুল রায়কে । স্বান্তনা জানায় তার বাবা মা বোন সহ আত্মীয় স্বজনদের। দুই পরিবারকে রাজ্য সরকারের তরফে পাঁচ লাখ টাকার চেক তুলে দেন। এক সঙ্গে শ্রদ্ধা জানালো সারা বাংলার বাসী। সারা বাংলার মানুৃস এক সঙ্গে শ্রদ্ধা জানাচ্ছে বাংলার দুই বীর শহীদ সন্তান রাজেশ ওরাং ও বিপুল রায়কে।
এদিন পূর্ন রাষ্ট্রীয় মর্যদায় রাজেশ ও বিপুলকে শেষ সম্মান জানানো হয়। গান স্যালুট দেওয়া হয়। রাজেশের কফিন বন্দি দেহ কবরে নামায় সেনা সহকর্মীরা। শেষে তার মা সহ আত্মীয়রা প্রথম মাটি দেয় কফিনে। এদিন বেলঘড়িয়া গ্রামে হাজার হাজার মানুষের ভীড় আর ভক্তি শ্রদ্ধার সঙ্গে ষেষ বিদায় জানানো হয়। একই ভাবে শ্রদ্ধা সম্মান জানানো হয় বাংলার আরেক বীর সন্তান বিপুল রায়কে। আলিপুরদুয়ারে তার শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় যথাযথ মর্যদায়।
দৈনিক বাংলাদেশ আলো পত্রিকায় প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।