মাইদুল ইসলাম রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি,
রৌমারীতে দিনমজুর খেটে খাওয়া মানুষের চরম দূর্দিন চলছে। আগত বর্ষা মৌসুমে চারিদিকে মাঠ ঘাট ফাঁকা। কৃষকেরও কোন কাজ নেই। আগত বর্ষা মৌসুম । একেত রৌমারী রাজিবপুর বর্না কবলিত অঞ্চল হিসেবে অভিহিত। তাই বানের পানির ভয়ে আগাম রোপা আমন চাষে কৃষক বল পায়না বুকে। তাই এ অঞ্চলে আগামী দুই মাস কৃষকের কোন কাজ না থাকায় অসহায় দিনমজুর মানুষ গুলো সন্তানাদি নিয়ে চরম কষ্টে দিনাতিপাত করছে। দল বেধে প্রতিনিয়ত কাজের সন্ধানে শহরের দিকে ছুটছে। কোথাও তাদের কাজ ও নিরাপত্তা নেই। মহামারী করোনার কারণে কেহ কাজে নিচ্ছেনা। খেয়ে না খেয়ে হতাশ হয়ে ফিরছে নিজ গৃহে। তাদের নুন আনতে পানতা ফুরানো সংসারে চলছে অসনি সংকেত। সরকারের গুদাম ভরা চাল, কৃষকের গোলা ভরা ধান । দিনমজুরের আছে কাজের হাত পা। কিন্ত সে কাজ টুকু তাদের নেই।
রৌমারীর প্রতিটি গ্রামে ৫০% মানুষ দরিদ্র সীমার নীচে বসবাস করে। দিনমজুরী তাদের মূল পেষা। দীর্ঘ ৪ মাস চলমান করোনা কালে সঞ্চিত গৃহ পালিত হাস-মুরগী ছাগল সবই বিক্রি করে খাওয়া শেষ। গরীবের আবার সঞ্চয়, সরকারী সহায়তাই বা কোথায় । ফসল উঠেছে কৃষকের ঘরে ,দিনমজুরের লাভ কি। কমেনি চাল ডাল নিত্য পর্ণের দাম। এব্যাপারে দিনমজুর শমেশ উদ্দিন বলেন, এদেশে যারা সরকারী চাকুরী করে , তারা তো সোনার হরিণ। খড়া বৃষ্টি বাদল অসুখ বিসুখ সব সময় তাদের বেতন আছে রেশন আছে। আর আমরা রোদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে এদেশের মানুষের খাদ্য রিাপত্তা দিতে সোনার ফসল ফলাই। আমাদের ভাগ্যে তো রেশন কার্ড জোটেনা। হ ওরাই সুখে থাক আল্লাহ আমাগো না খাওয়াইয়া মারবো না।
দৈনিক বাংলাদেশ আলো পত্রিকায় প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।