বাগমারা প্রতিনিধি রবিন,
রাজশাহী জেলা বাগমারা উপজেলার ঝিকরা ইউনিয়নের কুদা পাড়া গ্রামের আমির আলীর বাড়িতে এই ঘটনাটি ঘটে।বর্তমানে এই প্রতিবেদন লেখার সময় প্রেমিকসহ বাড়ির সবাই পলাতক রয়েছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, আমীর আলীর ছেলে মাসুদ রানার(২৩)সাথে পার্শ্ববর্তী আত্রাই উপজেলার আয়েশা সিদ্দিকার (১৮)প্রেমের সম্পর্ক ছিল।আয়েশা সিদ্দিকা বাহাদুরপুর গ্রামের মৃত আছির উদ্দিনের মেয়ে এবং সিংড়া হাই স্কুলের ছাত্রী। মাসুদ রানা পতিসর বেড়াতে গেলে তার সঙ্গে পরিচয় হয় এবং পরবর্তীতে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে বলে আমাদের কাছে জানায় আয়েশা। মন দেওয়া-নেওয়ার এক পর্যায়ে মাসুদ রানার সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে এবং বর্তমানে সে সন্তানসম্ভবা।
এই বিষয়টি জানিয়ে বিয়ে করার জন্য মাসুদ রানা কে বলা হলে সে এড়িয়ে যায় এবং বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানায়। এই অবস্থায় নিরুপায় আয়েশা প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান নেয়। বিষয়টি বুঝতে পেরে প্রেমিক মাসুদ রানা ও তাঁর পরিবারের অন্যান্যরা বাড়িতে তালা দিয়ে পালিয়ে যায়।তবে মাসুদ রানার চাচাতো বোনেরা আয়েশাকে মারধর করেছে বলে সে জানায় ।বিষয়টি নিয়ে ঝিকড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল হামিদ ফৌজদার এর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনাটি শুনেছেন এবং ঠিক কী ব্যবস্থা নিবেন বুঝতে পারছেন না বলে জানান।
এই প্রতিবেদক ঘটনাস্থল থেকে ফেরার সময় ঝিকরা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের কর্মকর্তা এসআই রইস কে বিষয়টি জানান এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেন। ঘটনাস্থল থেকে চলে আসার পর আমাদের সংবাদদাতা জানান, সাংবাদিকদের সংগে কথা বলার অপরাধে আয়েশা কে পুনরায় মারধর করা হয়। এরপর পুলিশ এসে মেয়েটিকে ঝিকরা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে নিয়ে যায়।
মেয়েটি এখন ফাঁড়ি তে আছে বলে পুলিশ কর্মকর্তা এসআই রইস ফোনে নিশ্চিত করেন। তিনি আরো জানান, পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য উদ্ধর্তন কর্মকর্তাদের বিষয়টি জানানো হয়েছে
দৈনিক বাংলাদেশ আলো পত্রিকায় প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।