ঢাকাবৃহস্পতিবার, ২৩শে মার্চ, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, বিকাল ৫:৩৫
আজকের সর্বশেষ সবখবর

সুন্দরগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি: পানিবন্দি ৫৫ হাজার মানুষ

মাহমুদুল হাসান, সাব-এডিটর
জুন ২৯, ২০২০ ৮:২১ অপরাহ্ণ
পঠিত: 30 বার
Link Copied!

বিপুল ইসলাম আকাশ, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা)
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি হয়েছে। ইতোমধ্যেই ১২ হাজার ৯’শ পরিবারের ৫৫ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।
গত এক সপ্তাহ থেকে টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে বন্যার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় উপজেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত তিস্তা নদীর পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে করে বেলকা, হরিপুর, কাপাশিয়া, শ্রীপুর, চন্ডিপুর, তারাপুর, শান্তিরাম ও কঞ্চিবাড়ী ইউনিয়নের ১২ হাজার ৭’শ পরিবারের ঘরবাড়ি পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। পানি বন্দি হয়ে পড়েছেন প্রায় ৫৫ হাজার মানুষ। তারা অনাহারে অর্ধাহারে জীবন যাপন করছেন। সরকারিভাবে পানিবন্দি মানুষদের উদ্ধারের ব্যবস্থা না থাকায় অনেকেই পরিবার পরিজন, গবাদিপশু নিয়ে বন্যা নিয়ন্ত্রন বেরি বাঁধ ও উঁচু স্থানসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আশ্রয় নিয়েছেন। তারা খাদ্য, বিশুদ্ধ পানীয় জল ও জ্বালানী না থাকায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।
এছাড়াও গরু চোর আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন তারা। চরাঞ্চলবাসীর একমাত্র রোজগারের অবলম্বন গবাদি পশু পালন। বিশেষ করে কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে গরু মোটাতাজা করে বিক্রি করা তাদের একমাত্র রোজগারের উৎস। আর এই গবাদি পশু নিয়ে আতঙ্কে দিন কাটছে বন্যার্তদের।
গাইবান্ধা পাউবো কন্ট্রোল রুম সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় তিস্তা নদীর পানি বিপদ সীমার ২০.৫০ সে.মি উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বেলকা ইউপি চেয়ারম্যান ইব্রাহিম খলিলুল্ল্যাহ্ জানান, তার ইউনিয়নে ৪ হাজার ৫’শ পরিবার পানিবন্দি অবস্থায় আছেন। বানভাসীরা বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বাঁধে আশ্রয় নিয়েছেন।
হরিপুর ইউপি চেয়ারম্যান নাফিউল ইসলাম জিমি জানান,তার ইউনিয়নে ৩ হাজার ৩শ পরিবার পানিবন্দি হয়েছে।
কঞ্চিবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান মনোয়ার আলম জানান, তার ইউনিয়নে ৪শ পরিবার পানিবন্দি হয়েছে।
শান্তিরাম ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সামিউল ইসলাম জানান, তার ইউনিয়নে পানিবন্দি হয়েছে ২শ পরিবার।
শ্রীপুর ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম জানান, তার ইউনিয়নের ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডে ৪শ পরিবার পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে।
চন্ডিপুর ইউপি চেয়ারম্যান ফুলমিয়া জানান,তার ইউনিয়নে পানিবন্দি হয়েছে ৪’শ পরিবার।
কাপাসিয়া ইউপি চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন সরকার জানান, তার ইউনিয়নে ৩ হাজার ৫শ পরিবার পানিবন্দি। দিন দিন পানি বন্দির সংখ্যা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ সৈয়দ রেজা-ই-মাহমুদ জানান, বন্যার পানিতে আমন বীজতলা ৩০ হেক্টর, সবজি ২৭ হেক্টর, পাট ৪’শ ৭০ হেক্টর, তিল ২০ হেক্টর নিমজ্জিত হয়েছে।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার একেএম হারুন-অর রশিদ জানান, চরাঞ্চল ও নদী তীরবর্তী ৩৬ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বন্যার পানি ঢুকে পড়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাজী লুতফুল হাসান করোনায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন থাকায় তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

দৈনিক বাংলাদেশ আলো পত্রিকায় প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না