কুড়িগ্রাম জেলা ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণার আগে প্রার্থীদের নামে অপপ্রচার

   বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এই দেশের একটি প্রধান রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠন। অবিভক্ত পাকিস্তানের সর্বপ্রথম ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। এটি ভারত বিভক্তিক্রমে পূর্ব পাকিস্তানের উদ্ভবের কিছু পর গঠিত হয়। ছাত্রলীগ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শিক্ষা প্রাতিষ্ঠানিক সহযোগি সংগঠন হিসেবে পরিচিত। ঐতিহ্যবাহী এই ছাত্র সংগঠনটির জন্ম আওয়ামী লীগের এক বছর আগে। শিক্ষা, শান্তি ও প্রগতির পতাকাবাহী সংগঠন, জাতির মুক্তির স্বপ্নদ্রষ্টা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে গড়া, জীবন ও যৌবনের উত্তাপে শুদ্ধ সংগঠন, সোনার বাংলা বিনির্মাণের কর্মী গড়ার পাঠশালা বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। বিদ্যার সঙ্গে বিনয়, শিক্ষার সঙ্গে দীক্ষা, কর্মের সঙ্গে নিষ্ঠা, জীবনের সঙ্গে দেশপ্রেম এবং মানবীয় গুণাবলির সংমিশ্রণ ঘটিয়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ পদার্পণ করতেছে পথচলার ৭২ বছরে।

গত ১৭/১১/২০১৯। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে- বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কুড়িগ্রাম জেলা শাখার কমিটি  মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় এবং অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকায় কমিটি  বিলুপ্ত ঘোষণা করেন এবং সেই সাথে নতুন কমিটি গঠন করার নিমিত্তে সভাপতি  ও সাধারণ সম্পাদক পদে আগ্রহী পদ প্রত্যাশীদের  নিকট (১০) দশ কার্য দিবসের মধ্যে জীবনবৃত্তান্ত কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের ঠিকানায় জমা দেওয়ার জন্য আহবান করেন। তারই ধারাবাহিকতায় মোঃ রাজু আহমেদ তার জীবনবৃত্তান্ত  কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের ঠিকানায় কুড়িগ্রাম জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পদপ্রার্থী হিসেবে জীবনবৃত্তান্ত জমা দিয়েছেন। যখন তার যোগ্যতা ও ত্যাগ কে কোনভাবে হাইব্রীড, অনুপ্রবেশকারীরা ঠেকাতে পারছে না তখন তারা সুকৌশলে  শুরু করছে মিথ্যা অপপ্রচার।

জেনে রাখা ভালো যে মোঃ রাজু আহমেদ এর পূর্বের রাজনৈতিক অবস্থান ও পদবী সমূহ ঘাটতে গিয়ে যা পাওয়া যায় তিনি সাবেক সাধারণ সম্পাদক, হাসপাতাল পাড়া আঞ্চলিক কমিটি, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ,কুড়িগ্রাম পৌর শাখা। সাবেক সাধারণ সম্পাদক (০৭ নং ওয়ার্ড ) বাংলাদেশে ছাত্রলীগ, কুড়িগ্রাম পৌর শাখা সাবেক সদস্য, বাংলাদেশে ছাত্রলীগ, কুড়িগ্রাম পৌর শাখা।সাবেক সদস্য,  বাংলাদেশে ছাত্রলীগ, কুড়িগ্রাম জেলা  শাখা।সাবেক সাধারণ সম্পাদক,  বাংলাদেশে ছাত্রলীগ, কুড়িগ্রাম পৌর শাখা ও সাবেক সহঃ সভাপতি  বাংলাদেশে ছাত্রলীগ, কুড়িগ্রাম জেলা  শাখা আরও জানা যায়, রাজুর ৩ পুরুষ এর ধমনীতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রক্ত। উড়ে এসে জুড়ে বসা কোন নব্য আওয়ামীলীগার না। রাজু’র পরিবার  কুড়িগ্রাম জেলায় বংশ পরম্পরায় আওয়ামী পরিবার হিসাবে সুপরিচিত এবং তার বাবা ছাত্রজীবনে কুড়িগ্রাম মহকুমা জেলা ছাত্রলীগের সক্রিয় সদস্য ছিলেন । তার বাবা ছাত্র জীবনে সরকারি চাকুরিতে যোগদান করলে রাজনীতি থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন কিন্তু  তিনি কখনই বঙ্গবন্ধুর আদর্শ থেকে আওয়ামী লীগের আদর্শ থেকে বিচ্যুত হননি।

এই ক্লিন ইমেজের রাজু আহমেদ অতীতে  নিজ সংগঠনের স্বার্থবাদী একটা গ্রুপের কিছু নেতার কাছ থেকে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছে। ষড়যন্ত্রের কারণ টা ছিল মূলত  স্থানীয় ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল।এ কোন্দল এর জের ধরে ঐ সময় টাকা দিয়ে  এবং রাজনৈতিক পদবীর ক্ষমতার অপব্যবহার করে স্হানীয়  কিছু পত্রিকায় কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজের রাস্তার ইট হরিলুট শিরোনামে নিউজ  প্রকাশিত করেন। ঐ নিউজে সেই সময়কার জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সফিকুল ইসলাম সাকিব রাজু আহমেদ কে জড়িত থাকার অভিযোগ এনে তার নিজের মনগড়া  মতামত প্রদান করেন। উক্ত নিউজের সাংবাদিক  ঐ সময় রাজু আহমেদ এর সাথে  মুটোফোনে যোগাযোগ করলে রাজু আহমেদ জড়িত না থাকার বিষয় টা নিশ্চিত করেন এবং রাজু আহমেদ  সাংবাদিকদের মাধ্যমে পুলিশ প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সুস্পষ্ট তদন্তের দাবি করেন এবং প্রকৃত জড়িত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির অনুরোধ করেন।প্রাথমিক তথ্য বিবরণীতে তদন্তকারী কর্মকর্তা  হিসেবে মোঃ আশরাফ আলী(এস. আই) কে দায়িত্ব  প্রদান করলে,  উক্ত ঘটনায় মোঃ রাজু আহমেদ যে জড়িত নয় তার প্রমাণ স্বরুপ উল্লেখ করেন। তদন্তকারী কর্মকর্তা এস.আই  (নিরস্ত্র),মোঃ আশরাফ আলী  এজাহারে উল্লেখ করেন মোঃ রাজু আহমেদ, পিতা মোঃ এমদাদুল হক,সাং- হাসপাতালপাড়া, উপজেলা ও জেলাঃ কুড়িগ্রাম,  এর বিরুদ্ধে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ্যভাবে জড়িত থাকার  কোন সাক্ষ্য প্রমান পাওয়া যায় নাই। বাদীও তাহার বিরুদ্ধে কোন সাক্ষী প্রমাণ হাজির করতে পারেন নাই।  সেজন্য তাহাকে মামলার দায়  হইতে  অব্যাহতি দিয়ে ঊধ্বর্তন কর্মকর্তার কাছে মামলার  এম/ই(,M/E),,   দাখিল করেন। যারা এই মামলার বিষয় নিয়ে  অপ্রচার চালাচ্ছে তাদের জন্য রাজু আহমেদ তার জড়িত না থাকার বিষয় নিয়ে উক্ত প্রমান দিয়ে মামলার কাগজপত্রদীর ছবি আমাদের কাছে পাঠিয়েছেন ।এই ব্যপারে ততকালীন জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সফিকুল ইসলাম সাকিব এর সাথে নিউজ টা লেখার সময় যোগাযোগ করলে তিনি হেসে হেসে  জানান, এগুলো ঐসময় আমাদের স্থানীয় ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল ছিলো। রাজু আহমেদ  ভাই রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়েছেন।ইট হরিলুট এর ঘটনাটি আসলেই  রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ছিল। আমরা অনেকদিন আগেই অবগত হয়েছি, কোন প্রমান না থাকায় চুড়ান্ত চার্জশিটে রাজু আহমেদ কে উক্ত মামলা থেকে  অব্যহতি প্রদান করা হয়েছে।সফিকুল ইসলাম সাকিব পরিশেষে বলেন- মোঃ রাজু আহমেদ আমাদের রাজনৈতিক বড় ভাই , উনি ভালো সংগঠন, ছাত্রলীগের রাজনীতিতে তার ত্যাগ ও অবদান অনেক রয়েছে। আমি ব্যক্তিগত ভাবে চাই রাজু ভাইয়ের ত্যাগের মূল্যায়ন কেন্দ্রীয়  নির্বাহী সংসদ  করুক। কুড়িগ্রাম জেলা ছাত্রলীগের কমিটির বিষয় ও সভাপতি  পদপ্রার্থী মোঃ রাজু আহমেদ এর বিষয়  নিয়ে  কুড়িগ্রাম জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সফল সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক কে ফোন দিলে উনারা উনাদের নিজ্যেস্ব  মতামত প্রদান করেন।কুড়িগ্রাম জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সফল সংগ্রামী সভাপতি আনিছুর রহমান টিটু সভাপতি পদপ্রার্থী রাজু আহমেদ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন- রাজু আহমেদ মেধাবী ও পরিচ্ছন্ন ছাত্রলীগ নেতা। তার অবদান ছাত্রলীগের রাজনীতিতে অনেক রয়েছে। তার মূল্যায়ন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নিশ্চয়ই করবে।স্নেহের রাজু’র জন্য শুভ কামনা রইল। কুড়িগ্রাম জেলা ছাত্রলীগের সাবেক বিপ্লবী সাধারণ সম্পাদক ও সফল সংগ্রামী সভাপতি  আনিছুর রহমান চাঁদ সভাপতি পদপ্রার্থী রাজু আহমেদ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন-

রাজু আহমেদ বিনয়ী, পরিশ্রমী, মেধাবী। সে সবদিক থেকেই যোগ্যতা রাখে জেলা ছাত্রলীগে নেতৃত্ব দেওয়ার, রাজু আহমেদ এর জন্য শুভ কামনা রইল। কুড়িগ্রাম জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সফল বিপ্লবী সাধারণ সম্পাদক  আব্দুল মোতালেব এর কাছে সভাপতি পদপ্রার্থী রাজু আহমেদ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন- রাজু আহমেদ একজন সৎ মেধাবী ও পরিশ্রমী ছাত্র নেতা। রাজু উপর ভরসা রাখে কুড়িগ্রাম জেলার ছাত্র  সমাজ। ছোট ভাই রাজু’র জন্য  দোয়া ও শুভকামনা রইল। কুড়িগ্রাম জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সফল সংগ্রামী সভাপতি মিনহাজুল ইসলাম আইয়ুব   সভাপতি পদপ্রার্থী রাজু আহমেদ সম্পর্কে বলেন- রাজু আহমেদ আমাদের সময় জেলা ছাত্রলীগের সদস্য ছিলো , রাজু আহমেদ মেধাবী,পরিশ্রমী,এবং পরিচ্ছন্ন ছাত্র নেতা থাকার কারণে আমি এবং আমার কমিটির জেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক মিলে রাজু কে কুড়িগ্রাম পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এর দায়িত্ব দিয়েছিলাম। রাজু তার উপর অর্পিত সাংগঠনিক দায়িত্ব সবসময় গুরুত্বপূর্ণ ভাবে পালন করছে। শুভ কামনা রইল ছোট্ট ভাই রাজু আহমেদ এর জন্য।

কুড়িগ্রাম জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সফল বিপ্লবী সাধারণ সম্পাদক মমিনুর রহমান মমিনের কাছে  সভাপতি পদপ্রার্থী রাজু আহমেদ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন- রাজু আহমেদ  পরিশ্রমী, ত্যাগী, মেধাবী, নিয়মিত ছাত্র, সাহসী, শিক্ষার্থীদের মাঝে জনপ্রিয়, পরিচ্ছন্ন ইমেজ ও সাংগঠনিক দক্ষতাসম্পন্ন। ছোট ভাই রাজু আহমেদ এর জন্য শুভকামনা রইল। কুড়িগ্রাম জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সফল সংগ্রামী সভাপতি খন্দকার মো: ওয়াহিদুন্নবী সাগর  সভাপতি পদপ্রার্থী রাজু আহমেদ সম্পর্কে বলেন রাজু আহমেদ আমাদের সময় জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি  ছিলো,রাজু খুবই পরিশ্রমী, ত্যাগী, মেধাবী, নিয়মিত ছাত্র, সাহসী, শিক্ষার্থীদের মাঝে জনপ্রিয়, পরিচ্ছন্ন ইমেজ ও সাংগঠনিক দক্ষতাসম্পন্ন।রাজু আহমেদ এর জন্য শুভ কামনা রইল।