বিশেষ প্রতিনিধিঃ
এম পি এনামুল হকের প্রেস সচিব বলে কথা। বাগমারা উপজেলার শ্রীপুরের জিল্লুর রহমান যিনি দীর্ঘ সময় বাগমারার সংসদ ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হকের প্রেস সচিবের দায়িত্ব পালন করেছেন তাকে ১৭ জুলাই এই পদ থেকে অব্যহতি দেন এনা গ্রুপ। জিল্লুর রহমানের অব্যহতির খবর বাগমারা অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়লে রবিবার দুপুর থেকেই মিস্টি বিতরণে নেমে পড়েন কিছু মানুষ। বাগমারা উপজেলা আওয়ামী লীগের একটি সুত্র বলছে জিল্লুর রহমান খাতা কলমে এম পি এনামুলের প্রেস সচিব থাকলেও তার চলাচল ছিল পাটির হাই কমান্ডের নেতার মত। দলের ত্যাগী নেতা কর্মীদের হয়রানি সহ নানা অভিযোগ থাকার পরেও অনিবার্য কারণে এতদিন বহাল ছিল প্রেস সচিবের পদে। বাগমারা উপজেলার একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন কৌশলে অর্থ আদায়, ইউনিয় আওয়ামী লীগের পদ কেনা বেচা, চেয়ারম্যান মেম্বারদের মনোনয়ন পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে অর্থ আদায় সহ ডজন অভিযোগ রয়েছে এই জিল্লুর রহমানের বিরুদ্ধে। বিভিন্ন অসৎ উপায় অবলম্বন করে এরই মাঝে কয়েক কোটি টাকার মালিক বনে যাওয়ার খবর রয়েছে জিল্লুর রহমানের নামে। রবিবার জিল্লুর রহমানের অব্যহতির খবর আসার পরেই মুঠো ফোনে গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে কথা বলেন বাগমারা উপজেলা আওয়ামী লীগের একাধিক কর্মী। এক প্রশ্নের উত্তরে একজন উপজেলা আওয়ামী লীগের পদধারি ব্যক্তি বলেন জিল্লুর কিভাবে এম পি এনামুলের প্রেস সচিব হয় এটিই ছিল শুশীল সমাজের নিকট প্রশ্ন বিদ্ধ। তিনি বলেন পুরাতন ইতিহাস সামনে আসলে এম পি এনামুল হক নিজেও লজ্জিত হবেন এমন মানুষের জন্য। চেয়ারম্যান মকবুল হোসেনের নাম নিয়ে আসেন তিনি। আওয়ামী লীগের শেকড় খুঁজতে গেলে যেখানে মকবুল হোসেনের পরিবারের নাম আসে সেখানে মকবুল হোসেনকে ফাঁসানোর চেষ্টা করেছিলেন এই জিল্লুর রহমান। নিজে চেয়ারম্যানের মনোনয়ন পেতে এই অঞ্চলকে নানা ভাবে বিতর্কিত করেছিল জিল্লুর রহমান। অপর একটি সুত্র বলেন এম পি এনামুলের নামের আগে জিল্লুরের নাম না আসলে সব কিছু বাঞ্চাল হয়েযেত শ্রীপুর এলাকায়। ভবানীগঞ্জ পৌরসভার একটি সুত্র বলেন জিল্লুরের নামে দলের ভারি নেতাদের ভেতরে জমা রয়েছে চাপা ক্ষোভ যা এম পির কারণে এতদিন সামনে আসেনি। সুত্রটি বলেন এম পির ৩০ ভাগ ইমেজ নষ্ট করেছে এই জিল্লুর। বিভিন্ন সময় গণমাধ্যম কর্মীদের সাথেও করতেন অশুভ আচরণ। তার পছন্দের গণমাধ্যম কর্মীদের সাথেই রাখতেন দহ রহ সম্পর্ক। দূর সময়ে এম পির পাশে দাঁড়ানো গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে কৌশলে এম পির সাথে বাড়িয়েদেন দুরুত্ব। গণমাধ্যম কর্মীরা যেন এম পির প্রতি ক্ষিপ্ত হন। শিকদারি বাজারের একজন ব্যবসায়ি বলেন এম পি সাহেব আসলে কোন জালে ঘেরা তা বোঝা বড়ই মুসকিল। জিল্লুরের মত বিতর্কিত ব্যক্তির নামে এত অভিযোগ থাকার পরেও কিভাবে এনা গ্রুপের মত সুনাম ধন্য প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছিলেন। রাজশাহীতে কর্মরত সাংবাদিকদের ও রয়েছে জিল্লুররের নামে নানা অভিযোগ। রাজশাহীর এক অংশের গণমাধ্যম কর্মীরা বলেন আমরা জিল্লুরের সকল অঘটন অনুসন্ধান চলমান রেখেছি যা আগামিতে প্রকাশ করা হবে।
দৈনিক বাংলাদেশ আলো পত্রিকায় প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।